কোর্টবাজারের দোকান মালিকদের টাকা অর্জন নাকি জীবন বাঁচা দরকার?

জয়নাল আবেদীন ◑

মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার ঈদ শপিং করবো না। আর এদিকে লকডাউন আর দোকান-পাট বন্ধ ছিল। মাঝখানে অর্থনীতি চাকা সচল রাখা আর জনরোষে শর্ত সাপেক্ষে দোকান-পাটই খোলার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু দোকানদাররা দোকান-পাট খোললেও সরকারের দেয়া শর্তগুলোর পালনের তেমন নজির দেখা যায়নি।এদিকে মার্কেটের সামনে হাত-ধোয়ার বালতি আর সাবান রাখলেও কে ধোয় হাত কে ছোঁই পানি এমন অবস্থা।

আর জনসচেতনতায় বসুন্ধরা শপিংমল আর যমুনা ফিউচার পার্ক খোলবেনা বলে জানান দিলে তাদের দেখানো পথে হাঁটতে থাকে দেশের অধিকাংশ দোকান মালিক সমিতি। তারই অংশ হিসেবে কোর্টবাজার দোকান মালিক সমিতিও সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরাও দোকান-পাট খোলবে না। তাদের মিটিং সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যামে দেখা যায়, সেখানে অনেক অধিকাংশ দোকানের মালিকর বলেন, বেঁচে থাকলে অনেক টাকা অর্জন করতে পারবো। আগে জীবন পরে টাকা অর্জন। কিন্তু কথা ঠিক থাকলে কাজে মিল পাওয়া যায়নি কোর্টবাজারের দোকানদারদের। হরহামেশাই দোকান খোলে করোনার হাট বসাচ্ছে সাথে মৃত্যুও। আশা করি, আর কিছুদিন দোকান-পার্ট না খোললে দৈনন্দিন জীবন নির্বাহে তেমন সমস্যা হবেনা দোকানদারদের। জানি, বিভিন্ন লেনদেনে বেগ পৌঁহাতে হবে। তারপরও দেশের স্বার্থে সর্বোপুরি নিজের ও নিজের পরিবারের স্বার্থে দোকান-পাট না খোলে নিজেদের বাঁচানো উচিৎ। কোর্টবাজার দোকান মালিক সমিতি ছাড়াও দেশের অনেক দোকান মালিকদের সিদ্ধান্ত না মেনে এমন কাজ করে যাচ্ছে দোকানদাররা।

স্টেশনে গিয়েছিলাম পরিবারের জন্য কিছু ওষুধ আনতে। অসচেতন মানুষগুলোর অসচেতন কাজ কর্ম গুলো দেখলে যেকোন মানুষের মেজাজ বিগড়ে যাবে। এক মহিলা তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে আসছে।বাচ্চাটি মায়ের কাঁধে মার্কেটের জীবানোর বাতাস খাচ্ছে। আর এক পরিবারকে দেখলাম, ছোট্ট ছোট্ট তিন সন্তানকে নিয়ে শপিং এ যেতে। তাঁর মধ্যে দুধের বাচ্চাও আছে। আল্লাহ-মালুম কবে সচেতন এরা। দেশে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আমেরিকা ইতালিতে আজ মৃত্যুর মিছিল। দেশেও দুইশ ছাড়িয়েছে। এখন সচেতন না হলে কখন সচেতন এ জাতী।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন,আমিন।